আমাদের বাসায় এক আপু থাকতেন ছোটোবেলায়। পিরিয়ডের সময় যাকে অনেক বলে কয়েও প্যাড কেনানো যেত না। বললে বলতেন “আমার প্যাডে অস্বস্তি হয়, তুলাই ভালো”। যত সময় গেছে আমি, আমরা জেনেছি নাহ তার প্যাডে অস্বস্তি হয়না বরং প্রতিমাসে সে প্যাড এফোর্ড করতে পারেনা। আর লজ্জা সংকোচে এটা কাউকে বলেন ও না। বাংলাদেশে একটা ছোটো স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্য খরচ করতে হয় ১২০-২০০ টাকা। যেটা হয়ত অনেকের পক্ষেই এফোর্ড করা সম্ভব না। যার ফলে ২০১৪ সালের এক জরিপ অনুযায়ী ৮৬% স্কুল পড়ুয়া মেয়ে পিরিয়ডে কাপড় /ন্যাকড়া ব্যবহার করে (ডেইলি স্টার)। আর বিবিসির নিউজ বলে এই অস্বাস্হ্যকর স্যানিটারি ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিবছর বারো হাজার নারী জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
কোথায় আমরা স্যানিটারি ন্যাপকিন করব সহজলভ্য কিংবা ফ্রি সেখানে আমরা উলটা এর উপর ও কর বসাচ্ছি। অথচ মন্ত্রি এম্পিদের বিদ্যাশ থেকে গাড়ি আনতে কর লাগেনা। ব্যাপারটা হচ্ছে একটা দেশের সরকার তার জনগণের প্রয়োজনে কিসে গুরুত্ব দিচ্ছে আর কিসে দিচ্ছেনা এটা তার জনগণ ও জানেনা। জানলেও মনে করে আমি তো কিনতে পাই, খাইতে পাই। আমরা মেনে নিতে নিতে এমন এক জায়গা এসে পৌছাইসি আমাদের আর কিছুই গায়ে লাগেনা।
কিন্তু এবার একটু কথা বলেন প্লিজ। এইবার একটু বলেন বিড়িতে কর বসানো আর প্যাডে কর বসানো যে এক না। বলেন ১০ কোটি নারীর জীবন যে ফ্যালনা না। প্রতিমাসে পিরিয়ডের মত একটা ব্যাপার ন্যাকড়া দিয়ে ঢাকার জিনিস না। তাই প্যাড তৈরির যে সরঞ্জাম তাতে কর কমাক। প্যাডের উপর থেকে কর তুলুক। একে এফোর্ডেবল করুক।